Advertisement

BRAKING NEWS //লাকসামে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, আড়াই ঘণ্টা বিলম্বে যাত্রা

কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশনে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকালে তোলাছবি: প্রথম আলো

 কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে জংশন এলাকায় দিক পরিবর্তনের সময় ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয় বলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর ঘটনা ঘটেনি।

লাকসাম রেলওয়ে জংশনের কেবিন মাস্টার ওমর ফারুক ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইঞ্জিন লাইনচ্যুতির পর বিকল্প ইঞ্জিনে ট্রেনটি আড়াই ঘণ্টা দেরিতে লাকসাম থেকে চট্টগ্রামের দিকে ছেড়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।লাকসাম রেলওয়ে জংশন সূত্র জানায়, চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি আজ সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে লাকসাম রেলওয়ে জংশন এসে যাত্রাবিরতি দেয়। ৬টা ৪৫ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা। এ সময়ের মধ্যে ট্রেনের বগিগুলো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রেখে ইঞ্জিনের দিক পরিবর্তন করতে হয়। দিক পরিবর্তনের সময় ৬টা ৪৮ মিনিটে ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিলম্বে সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে বিকল্প ইঞ্জিনে ট্রেনটি লাকসাম থেকে চট্টগ্রামের দিকে ছেড়ে যায়। ট্রেনটিতে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।

ট্রেনের যাত্রী সুলতান আহমেদ বলেন, ‘জরুরি কাজে লাকসাম থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছি। ভেবেছি ট্রেনে গেলে সহজ ও তাড়াতাড়ি হবে। কিন্তু ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ায় আড়াই ঘণ্টা সময় নষ্ট হলো। ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরাও দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি-এটাই ভালো খবর।’লাকসাম জংশনের কেবিন মাস্টার ওমর ফারুক ভূঁইয়া বলেন, অন্যান্য সময়ের মতো মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন চট্টগ্রামমুখী করতে পকেট লাইনে সান্টিং করতে গিয়ে ৬টা ৪৮ মিনিটে ইঞ্জিনের সব চাকা লাইনচ্যুত হয়ে পকেট লাইনের শেষ মাথায় গিয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া পকেট লাইনে হওয়ায় ট্রেন চলাচলেও কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। পরে বিকল্প ইঞ্জিনে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

লাইনচ্যুত ইঞ্জিনের উদ্ধারকাজ শেষ পর্যায়ে আছে জানিয়ে বেলা দুইটার দিকে ওমর ফারুক ভূঁইয়া বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই লাকসাম জংশনের উদ্ধারকারী ট্রেন কাজ শুরু করে। ইঞ্জিনের সব চাকা লাইনচ্যুত হওয়ায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে আরেকটি উদ্ধারকারী ট্রেন আনা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হবে।

Post a Comment

0 Comments